অভিনব উদ্ভাবন: এবার বজ্র রুখে দিবে সাইকেলের চাকা।

নব উদ্ভাবিত বজ্র নিরোধক ব্যবস্থা।

পশ্চিমবঙ্গ নিউজ:

খোলা ‌মাঠে বাজ পড়ে প্রাণহানি রুখতে অভিনব বজ্রনিরোধক তৈরি করল ওয়েস্ট বেঙ্গল রেডিও ক্লাব ও সোদপুর দেশবন্ধু বিদ্যাপীঠ ফর বয়েজ। সাইকেলের চাকা এবং এ–‌রকমই কিছু ঘরোয়া সরঞ্জাম দিয়ে তৈরি হয়েছে এই যন্ত্র। যা তৈরিতে খরচ পড়বে ১৫০/‌২০০ টাকা। খোলা মাঠে কর্মরত কৃষক এবং মাঝসমুদ্রে–‌যাওয়া মৎস্যজীবীরা যাতে বাজ পড়লেও নিরাপদ থাকেন, সেজন্যই কম খরচে বজ্রনিরোধক আবিষ্কারের উদ্যোগ। এখন বিভিন্ন ক্লাব, স্কুল, সংগঠনের মধ্যে নিজের ছাত্রদের নিয়ে এই বজ্রনিরোধক সম্পর্কে প্রচার চালাচ্ছেন নিউক্লিয়ার ফিজিক্সের শিক্ষক ড.‌ পশুপতি মণ্ডল।
এই বজ্রনিরোধক তৈরি করতে চাই সাইকেলের চাকার স্পোকযুক্ত গোল লোহার রিং, সরু ধাতব তার, লোহার টুকরো, অন্তত ৩০ ফুট লম্বা বঁাশ, কাঠকয়লা ও নুন। বঁাশের এক প্রান্তে সাইকেলের চাকাটি শক্ত করে আটকাতে হবে। চাকার স্পোকগুলি যেন ওপরের দিকে অল্প বঁাকানো থাকে, ওল্টানো ছাতার মতো। এবার চাকার কেন্দ্রে ধাতব তারের এক প্রান্ত আটকে দিতে হবে। বঁাশ–‌বরাবর সেই তারটি পেঁচিয়ে নেমে আসবে মাটিতে। বঁাশের নীচের প্রান্তটি সমেত মাটির ৪ ফুট নিচে গেঁথে দিতে হবে ধাতব তারের অন্য প্রান্ত। বঁাশ ও তার মাটিতে গঁাথার সময়ে গোড়ায় কিছু কাঠকয়লা আর নুন রেখে দিতে হবে, যাতে বাজ পড়লে তার বেয়ে বিদ্যুৎ সহজেই মাটিতে মিশে যায়। এই প্রক্রিয়াকেই ‘‌আর্থিং’‌ বলে, জানালেন ওয়েস্ট বেঙ্গল রেডিও ক্লাবের সম্পাদক অম্বরীশ নাগ বিশ্বাস। তবে এ ধরনের বজ্ররোধক লাগানোর আগে দেখে নিতে হবে সে–‌জায়গায় যেন কোনও ভাবেই জল না জমে। নইলে বাজ পড়ে বিদ্যুৎ তার বেয়ে মাটিতে মেশার আগেই জলে মিশে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হতে হবে। এ ছাড়া এই বজ্ররোধী ব্যবস্থা কাজ করবে না যদি আশপাশে ওই বঁাশের চেয়ে উঁচু কোনও কিছু থাকে।
কেন্দ্রের উদ্যোগে এবারও আয়োজন করা হয়েছিল ‌‘‌২৭তম শিশু বিজ্ঞান কংগ্রেস ২০১৯‌’‌। সেপ্টেম্বরে বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের এই প্রতিযোগিতা হয় গোবরডাঙা প্রীতিলতা বালিকা বিদ্যালয়ে। সোদপুর দেশবন্ধু বিদ্যাপীঠ ফর বয়েজের দুই ছাত্র অ্যাবেল সরকার ও সুদীপ সরকার সেখানে হাতেকলমে এই আবিষ্কার তুলে ধরেন। প্রাথমিক ভাবে এই আবিষ্কারকে জাতীয় স্তরে বেছে নেওয়া হয়েছে।

Leave a Reply