সিবিএল২৪ : দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ক্যাসিনো-কাণ্ডে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের বিরুদ্ধে চলমান অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে ২২ জনের বিরুদ্ধে বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। আজ বুধবার (২৩ অক্টোবর) এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) বিশেষ পুলিশ সুপার (ইমিগ্রেশন) বরাবর। দুদকের এ সংক্রান্ত অনুসন্ধান দলের প্রধান ও সংস্থাটির পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন এ চিঠি পাঠিয়েছেন বলে বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছে দুদক সূত্র।
বিদেশযাত্রায় যাঁদের নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে তাঁদের মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ে গ্রেপ্তার হওয়া কয়েকজনের পাশাপাশি নাম রয়েছে অনুসন্ধান চলমান থাকা ব্যক্তিদের। চিঠিতে বলা হয়, দেশে মানিলন্ডারিংসহ বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগ আছে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে দুদকের অনুসন্ধানে। বিশ্বস্ত সূত্রে দুদক জানতে পেরেছে যে, দেশ ছেড়ে অন্য দেশে যাওয়ার চেষ্টা করছেন অভিযোগসংশ্লিষ্টরা। তাই তারা যাতে দেশ ছেড়ে যেতে না পারেন অনুরোধ জানানো হয়েছে সে বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার।
বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন ভোলা-৩ আসনের সাংসদ নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন, চট্টগ্রামের সাংসদ ও জাতীয় সংসদের হুইপ শামসুল হক চৌধুরী আছেন। এছাড়াও রয়েছেন গ্রেপ্তার হওয়া কথিত যুবলীগ নেতা এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীম, মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা খালেদ মাহমুদ ভূইয়া, মোহামেডান ক্লাবের ডাইরেক্টর ইনচার্জ মো. লোকমান হোসেন ভূইয়া, ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট, সম্রাটের সহযোগী এনামুল হক আরমান, কলাবাগান ক্রীড়াচক্রের সভাপতি মোহাম্মদ শফিকুল আলম (ফিরোজ), অনলাইন ক্যাসিনোর হোতা সেলিম প্রধান এবং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান (মিজান)।
একই সঙ্গে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এনামুল হক এনু ও তাঁর ভাই গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক রুপন ভূইয়া, কেন্দ্রীয় যুবলীগের বহিষ্কৃত দপ্তর সম্পাদক কাজী কাজী আনিছুর রহমান ও তাঁর স্ত্রী সুমি রহমান, লোকমান হোসেন ভূইয়ার স্ত্রী নাবিলা লোকমান, গণপূর্ত অধিদপ্তরের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, সাবেক অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুল হাই , ওয়ার্ড কাউন্সিলর এ কে এম মমিনুল হক সাঈদ এবং এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদার, এনামুল হকের সহযোগী ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের কর্মচারী আবুল কালাম আজাদ (আজাদ রহমান), রাজধানীর কাকরাইলের জাকির এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. জাকির হোসেন ও সেগুনবাগিচার শফিক এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. শফিকুল ইসলামকে।
অনুসন্ধানে যাদের বিরুদ্ধে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যাবে তাদের সবারই বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেয়া হবে। আরও অনেকে আগামী কয়েক দিনে নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসবেন বলে জানিয়েছে দুদক।