বি বার্তা টোয়েন্টিফোর নেট:
প্রতিবেদনে বলা হয়, কেন্দ্রীয় সরকারের এমন সিদ্ধান্তে রীতিমতো চিন্তায় পড়েছেন দুর্গাপূজার উদ্যোক্তারা। যদিও সরকারের নির্দেশনা দুর্গাপূজার কথা বলা নেই, কিন্তু দশেরার কথা উল্লেখ থাকায় সংশয় দেখা দিয়েছে।
কেন্দ্রের এ সংক্রান্ত ১৫ দফা নির্দেশনা পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, দিল্লি, হিমাচল প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগড়, হরিয়ানা, রাজস্থানে পাঠানো হয়েছে। তবে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা জানিয়েছেন, তার কাছে এমন কোনও চিঠি পৌঁছায়নি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে একটি সূত্র জানিয়েছেন, গঙ্গায় প্রতিমা বিসর্জন ঠেকাতে যাতে এই নির্দেশনা কঠোরভাবে পালন করা হয়, সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে। এ ব্যাপারে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, সে ব্যাপারে উৎসব শেষে ৭ দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে সংশ্লিষ্ট রাজ্যকে। বিষয়টি ঠিকমতো পালন করা হচ্ছে কিনা, তা খতিয়ে দেখতে জেলা প্রশাসকদেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গঙ্গার পানি ও সেখানকার জীববৈচিত্র্য আসলে কতটা বিপদগ্রস্ত? দূষণের জেরে বিবর্তন কতটা হয়েছে এই নদীতে? এ বছরের গোড়ার দিকেই জুলজিকাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার কর্মকর্তা কৈলাস চন্দ্র জানিয়েছিলেন, দূষিত পানির পাশাপাশি গঙ্গা দূষণের অন্যতম কারণ প্লাস্টিক। বিশেষত মাইক্রো প্লাস্টিক। এটি মাছ ও অন্যান্য জলজ প্রাণীর জন্য সংকট তৈরি করছে। দূষণের জেরে গঙ্গার প্রাণী ও উদ্ভিদ জগতে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। বহু গাঙ্গেয় জীব, বিশেষত ডলফিন, শুশুক, কচ্ছপ, বিভিন্ন মাছের অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে পড়েছে। সূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, টাইমস অব ইন্ডিয়া।