যুগান্তর ডটকম:
এবার ধর্ষণের শিকার নারীকে হত্যার হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে পল্টন থানার বরখাস্ত ওসি মাহমুদুল হকের বিরুদ্ধ। ওসি তার শ্যালক এসএম সুলতানকে দিয়ে ভিকটিম নারীকে হুমকি দিয়েছেন। ১০ কোটি টাকা লাগলেও ভিকটিম নারীকে দেখে নিবে বলেও শাসায় ওসির শ্যালক। এছাড়া মাহমুদুল হাসান ও তার শ্যালক নিজেদের ফেসবুক ওয়ালে ভিকটিমের ছবি দিয়ে কুরুচিপূর্ণ স্ট্যাটাস দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, চাকরি দেয়া এবং বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এই নারীকে দীর্ঘদিন ধরে ধর্ষণের অভিযোগে সোমবার পল্টন থানার ওসি মাহমুদুল হককে সাময়িক বরখাস্ত করে পুলিশ হেডকোর্টার্স। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে একটি বিভাগীয় মামলা করা হয়।
জানতে চাইলে ভিকটিম নারী যুগান্তরকে বলেন, ওসির শ্যালক শাহেদ সুলতান আমাকে ফোন দিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। তিনি বলেন, ওসি ও তার শ্যালক যা করছে, তা আমার ও পরিবারের জন্য অসম্মানজনক। বিষয়টি ডিএমপি কমিশনার স্যারকে জানিয়েছি। তিনি দেখবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন।’ তিনি বলেন, আমার পরিবার তাদের ভয়ে বাড়ি থাকতে পারছে না।
এদিকে ভিকটিম নারীকে ফোন করে হুমকি দেয়ার বেশ কয়েকটি অডিও ক্লিপ যুগান্তরের কাছে এসেছে। একটি অডিও ক্লিপে ওসির শ্যালক ভিকটিমকে বলেন, ‘তুমি আমার নামে কেস করবা, জিডি করবা, করো। তুমি আমার কী করতে পারবা করো। প্রধানমন্ত্রী বরাবর দিবা দাও। আমি প্রধানমন্ত্রীর দলের লোক। প্রধানমন্ত্রীকে বলো আমি তোমাকে হুমকি দিয়েছি। দাও না দাও।’ ওই অডিও ক্লিপে ওসির শ্যালক আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের অনেকেই এমন কাজ করে। ওসি মাহমুদুল বলদ বলে তোমাকে ছবি তুলতে দিয়েছে।’
ভিকটিমের এক আত্মীয় যুগান্তরকে বলেন, ওসি মাহমুদুল এবং তার শ্যালক এলাকায় খুবই প্রভাবশালী। তারা স্থানীয় পত্রিকায় ভিকটিমের ছবি দিয়ে বাজে সংবাদ প্রকাশ করে চলেছে। বিষয়টি আমাদের বিব্রত করছে।
ওসির শ্যালক এসএম সুলতান হুমকির বিষয়টি অস্বীকার করে যুগান্তরকে বলেন, ‘আমি কেন তাকে হুমকি দিতে যাব। আমি শুধু মামলা চালানোর কথা বলেছি।’ এ বিষয়ে জানতে পল্টন থানার বরখাস্ত ওসি মাহমুদুল হাসানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত জানা গেছে, মাহমুদুল হক ২০০১ সালে এসআই পদে পুলিশে যোগদান করেন। চাকরি-জীবনে একটি গুরুদণ্ড-ব্ল্যাক মার্ক এবং ২২টি লঘুদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন। ২০১৭ সালের ২ জুলাই পল্টন থানার ওসি হিসেবে যোগদান করেন তিনি। ওসির স্ত্রী ও এক সন্তান রয়েছে।