মো: আব্দুল গফুর:
কক্সবাজার শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন স্টেডিয়াম ও কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানের মধ্যবর্তী গুরুত্বপূর্ণ সড়কের উভয় পাশে অবৈধভাবে গড়ে উঠা সিএনজির মিনি টার্মিনালটি অপসারণের দাবি জানিয়েছে স্কুলগামী শিক্ষার্থী , রোগী ও তাদের আত্নীয়স্বজন এবং স্থানীয় জনসাধারণ।
বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন স্টেডিয়াম এবং জেলা কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দান ছাড়াও কক্সবাজার সদর হাসপাতাল এবং জেলার স্বনামধন্য কয়েকটি বিদ্যালয় এ এলাকায় অবস্থিত হওয়ার কারণে প্রতিনিয়ত নানাভাবে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে হাসপাতালে আগত রোগী ও তার আত্নীয়স্বজন এবং স্কুলগামী ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকদের।প্রায়ই বিদ্যালয়ে যাতায়াতরত ছাত্রীরা সিএনজি ড্রাইভার ও প্যাসেঞ্জারদে দ্বারা ইভটিজিং এর শিকার হচ্ছে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরেজমিনে দেখা যায়, কক্সবাজার বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন স্টেডিয়াম সংলগ্ন চত্বর এবং কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানের পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলো দখলে করে মিনি টার্মিনালে পরিণত করেছে উখিয়া সোনার পাড়া ও ইনানীর ফোর স্ট্রোক বিশিষ্ট সিএনজিগুলো।
এসব সিএনজির অধিকাংশেরই কাগজপত্র মেয়াদ উত্তীর্ণ এবং অধিকাংশ ড্রাইভারেরর নেয় কোন ড্রাইভিং লাইসেন্স। সিএনজি পার্কিংয়ের নামে বিগত দু’মাস ধরে প্রত্যহ সকাল থেকে রাত অবধি এসব সিএনজি গুরুত্বপূর্ণ এই এলাকার যত্রতত্র অবস্থান করছে। ফলে কক্সবাজার সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়, সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, পার্শবর্তী পৌর-প্রিপ্যারেটরি উচ্চ বিদ্যালয় ও প্রভাতি শিশু শিক্ষা নিকেতনের শিক্ষার্থী এবং জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তার আত্নীয়স্বজনদের প্রতিনিয়ত নানাভাবে দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে। পাশাপাশি সিএনজি পার্কিংকে কেন্দ্র করে কক্সবাজারের অতি গুরুত্বপূর্ণ এ স্থানে গড়ে উঠেছে সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী চক্র, ইভটিজার, পকেটমার ও খুচরা ইয়াবা কারবারী চক্র।
এছাড়া কক্সবাজার ট্রাফিক বিভাগ ও পৌরসভার নাম ভাঙ্গিয়ে একটি প্রভাবশালী চক্র অবৈধভাবে গড়ে উঠা এই সিএনজি পার্কিং থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। ১০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সালাউদ্দিন সেতুর কাছে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে কার অদৃশ্য ইশারায় সিএনজি গাড়ী পার্কিংয়ের নামে এখানে মিনি টার্মিনালে গড়ে উঠেছে সে বিষয়ে তিনি অবগত নন বলে জানান।