সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার কক্সবাজারে বেড়াতে আসা এক গৃহবধূ

এরফান হোছাইনঃ

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২১ ইং তারিখে বুধবার রাত দেড়টার দিকে কক্সবাজার শহরের কলাতলীর হোটেল-মোটেল জোনের জিয়া গেস্ট ইন নামের রিসোর্ট থেকে এক ধর্ষিতা নারীকে উদ্ধার করা হয়। আর তার স্বামী ও সন্তানকে উদ্ধার করা হয় পর্যটন গলফ মাঠের সামনে থেকে।

ধর্ষণের শিকার হওয়া নারী পর্যটক জানান, বুধবার সকালে ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে স্বামী-সন্তানসহ কক্সবাজার বেড়াতে এসে শহরের হলিডে মোড়ের একটি হোটেলে ওঠেন।
সেখান থেকে বিকেলে যান সৈকতের লাবণী পয়েন্টে। সেখানে অপরিচিত এক যুবকের সঙ্গে তার স্বামীর ধাক্কা লাগলে কথা-কাটাকাটি হয়। এর জেরে সন্ধ্যার পর পর্যটন গলফ মাঠের সামনে থেকে তার ৮ মাসের সন্তান ও স্বামীকে সিএনজি অটোরিকশায় করে কয়েকজন তুলে নিয়ে যায়। এ সময় আরেকটি অটোরিকশায় তাকে তুলে নেয় তিন যুবক। পর্যটন গলফ মাঠের পেছনে একটি ঝুপড়ি চায়ের দোকানের পেছনে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে তিনজন।
ওই নারীর অভিযোগ, ধর্ষণ শেষে তাকে নেয়া হয় জিয়া গেস্ট ইন নামে একটি হোটেলে। সেখানে ইয়াবা সেবনের পর আরেক দফা তাকে ধর্ষণ করে ওই তিন যুবক। ঘটনা কাউকে জানালে সন্তান ও স্বামীকে হত্যা করা হবে জানিয়ে রুম বাইরে থেকে বন্ধ করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে তারা। পরে ভুক্তভোগী জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল করলে পুলিশ তাকে থানায় সাধারণ ডায়েরি করার পরামর্শ দেয়। পরে র‍্যাব এসে তাকে উদ্ধার করে।

কক্সবাজার র‍্যাব-১৫-এর লে. কর্নেল খায়রুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘এ ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক, তাদের কঠোর শাস্তি পেতে হবে। বিষয়টি নিয়ে অধিকতর তদন্ত চলছে। মামলার বিষয়টিও প্রক্রিয়াধীন।’
আমি শুধু ভাবছি দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন এলাকা কক্সবাজারে যদি স্বামী সন্তানসহ বেড়াতে গিয়ে একজন নারী নিরাপদ না থাকেন তাহলে মানুষ যাবেটা কোথায়? আমি তো মনে করি ধাক্কা লাগানোর ঘটনাও সাজানো।শুধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বা স্থানীয় প্রশাসন নয় স্থানীয় জনসাধারণসহ সবাইকে এসব ঘটনা প্রতিরোধ করতে হবে। দেশের পর্যটন বলি কিংবা নিরাপত্তা উভয় স্বার্থেই এটি করতে হবে। কারণ পর্যটন আর অপরাধ দুটো কখনো একসঙ্গে চলতে পারে না।

সুত্রে জানা যায়, র‍্যাব-১৫ এই ঘটনার সাথে জড়িত তিনজনের মধ্যে দুজনকে শনাক্ত করেছে এবং তাদের ধরতে চেষ্টারত আছে।

Leave a Reply